রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফের (মো. আব্দুল হালিম) বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার অন্যতম আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের পুত্র সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সাফাতের গাড়ি চালক ও দেহরক্ষীও রিমান্ডে রয়েছে।
এরই মধ্যে নাঈম আশরাফের সঙ্গে কিছু মেয়ের পার্টির ছবি ফাঁস হয়ে গেছে। ছবিগুলো পূর্বপশ্চিমের হাতে এসেছে। সামাজিকভাবে হেয় করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছবি ছেড়ে দিয়েছে কেউ কেউ। ছবিগুলোতে ধর্ষক সাফাতের সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ছবিও রয়েছে।
এদিকে, রিমান্ডের প্রথম রাতে নাঈম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে গোয়েন্দাদের সামনে শুধু কান্না করেছেন তিনি। এমনটাই পূর্বপশ্চিমকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এর আগে গতকাল বুধবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, এদিন নাঈম আশরাফকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা।
এর পরে ১১ মে সিলেট থেকে মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর চার দিন পর ১৫ মে রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান-১ থেকে গ্রেপ্তার হন মামলার অপর দুই আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আজাদ (রহমত)। সর্বশেষ গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হন আরেক অভিযুক্ত নাঈম আশরাফ।
পাঠকের মতামত: